নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জাকারিয়া ভূঁইয়ার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিহত জাকারিয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
অনানুষ্ঠানিক সূত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে জাকারিয়ার মৃত্যুর খবর জানানো হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে নিখোঁজের তালিকায় রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়নি।
জাকারিয়ার বাবা আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে চাই, তার মৃত্যু হলেও লাশটি যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে সরকার।’
নিহতের স্ত্রী লিনা আক্তার বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
জানা যায়, জাকারিয়া জয়পুরা গ্রামের আব্দুল বাতেন ভূঁইয়ার ছেলে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে জাকারিয়া তিনি চতুর্থ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ৮ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন জাকারিয়া। সেখান থেকেই নিউজিল্যান্ডের একটি কোম্পানিতে চাকরি পান তিনি। আড়াই বছর আগে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। সবশেষ ৬ মাস আগে দেশে এসে ৪০ দিনের ছুটি কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডে যান তিনি। স্ত্রী লিনা আক্তারকেও নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন জাকারিয়া ভূঁইয়া।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিলান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুম্মার নামাজের সময় আল নূর মসজিদ এবং লিনউড মসজিদে বন্ধুকধারীদের হামলায় ৪৯ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেসরিলিজে তিন জন (বাংলাদেশি) নিহতের খবর জানানো হয়।
তবে শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন এবং তিন জন নিখোঁজ আছেন। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন পাঁচ জন।