আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আইনের শাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এজন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যারা জড়িত তাদের কোনোভাবেই বঞ্চিত করতে চান না। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার।’
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগে কর্মরতদের বেতন প্রায় দিগুণ করা হয়েছে। এজলাস ভাগাভাগি যাতে করতে না হয়, সেজন্য একটি প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি এবং জেলা জজ ভবন ১০/১২ তলা ভবন নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। এজলাস বেশি থাকা ভালো। আমরা জনগণকে দ্রুত বিচার দিতে চাই। এজন্য আমাদের যতটুকু আর্থিক সামর্থ্য আছে, সবটুকু বিচার বিভাগের উন্নয়নে দিতে রাজি আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার জট কমাতে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া প্রয়োজন সেটা বর্তমান সরকার নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী, প্রতিহিংসায় বিশ্বাসী নয়।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আন্দোলন কোথায়? হুমকিই তো দিচ্ছে, আন্দোলন তো করতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়টি আদালতের ব্যাপার। তাকে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছে। আপিলেও হাইকোর্ট তাকে সাজা দিয়েছে। সরকারের তো কিছু করার নেই।’
এর আগে মন্ত্রী রাজশাহীর আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় আইনজীবীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভবন নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই তিন কোটি টাকা দেওয়াসহ বার ভবনে গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া আইনজীবীদের পক্ষে থেকে উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।
সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘দীর্ঘদিন আদালত চত্বরের কোনও উন্নয়ন হয়নি। এখানকার দায়িত্ব কেউ নেয়নি। শিগগিরই আদালত চত্বরের রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সিটি করপোরেশনের একটি মেগা প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে, সেটির মধ্যে আদালত চত্বরের উন্নয়ন ধরা হয়েছে। তবে তার আগেই প্রাথমিকভাবে কিছু কাজ করা হবে।’