নারায়ণগঞ্জ নগরীর টানবাজার র্যালি বাগান এলাকায় মাদকের প্রতিবাদ করায় আরজু বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূকে মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে। নিহত আরজু বেগম টানবাজার র্যা লি বাগান এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করায় অ্যাডভোকেট হামিদা আক্তার লিজা ও রমজানের লোকজনদের সঙ্গে আরজু বেগমের বিরোধ চলছিল। র্যালি বাগান এলাকায় মাদক নির্মুলে মিছিল করে আরজু বেগম ও তার লোকজন। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দুপুর ২টায় আরজু বেগমের ওপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ী রমজান ও হামিদা গংরা। আরজু বেগমকে প্রথমে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে দেন তারা। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, র্যালি বাগান এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হামিদা আক্তার লিজাকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের যাতে জামিন না করিয়ে দেয় সেজন্য এলাকাবাসী দাবি জানান। আর এ নিয়ে হামিদা আক্তার লিজার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বাকবিতণ্ডা হয়। ওইসময় লিজার ভাই বিল্লাল ও এক বোন মিলে ওই আরজু বেগমকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলে। আরেকজন আরজু বেগমের শরীরে পানি ঢেলে দেয়। এতে করে বিদ্যুতের সট থেকে আরজু বেগম আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অ্যাডভোকেট হামিদা আক্তার লিজাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে তিনি জানান।