ঋণের দায়ে আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজান টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের কুটির শিল্প ব্যবসায়ী শ্রী দুলাল চন্দ্র দাস (৪০)। তিনি উপজেলা সদরের শ্রী নরেশ চন্দ্র দাসের (মৃত) ছেলে। আত্মগোপনে যাওয়ার ১১ দিন পর বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে গাজীপুর থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১ এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, গত ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুয়াপুর গ্রাম থেকে দুলাল চন্দ্র দাস নিখোঁজ হন। স্বজনরা বিভিন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে, ভুয়াপুর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। একপর্যায়ে পরিবার জানতে পারে, দুলালকে অপহরণ করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার একটি গোপন কক্ষে আটকে রেখেছে একদল দুর্বৃত্ত। তারা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করেছে। টাকা দিতে না পারলে অপহরণকারীরা তার কিডনি বিক্রি করে দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বরাবর দুলাল চন্দ্রের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা দুলালের অবস্থান নিশ্চিত হই। আমার নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা বুধবার রাতে কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল জানিয়েছে, ঋণের চাপ থেকে রক্ষা পেতে আত্মগোপনে গিয়ে তিনি এমন অপহরণের কাহিনী সাজিয়েছেন। আমরা চানতে পারি, ২০১৬ সালে দুলাল তার মেয়েকে বিয়ে দেন। সেসময় বিভিন্ন এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিয়ে যৌতুক হিসাবে তিন লাখ টাকা দেন জামাতাকে। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে, গত ২৩ মার্চ আত্মগোপন করেন তিনি। পরে অপহরণের মিথ্যা নাটক সাজান। কণ্ঠ নকল করে তার ছোট ভাইয়ের কাছে মোবাইল ফোনে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে, তিন লাখ টাকা প্রয়োজন। অন্যথায় অপহরণকারীরা তার কিডনি বিক্রি করে ফেলবে। উদ্ধারের জন্য ছোট ভাইয়ের কাছে মিনতিও করেন দুলাল।’