X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ১১ আসামির বিরুদ্ধে তিন বছর পর চার্জগঠন

বগুড়া প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৩আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩১

বগুড়া বগুড়ার নন্দীগ্রামে ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিউটি বেগমকে (৩০) অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার তিন বছর পর বুধবার চার্জগঠন হয়েছে। বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম ফজলুল হক শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এ চার্জগঠন করেন। প্রভাবশালী আসামিদের তদবিরের কারণে চার্জগঠন বিলম্ব হয় বরে জানান আইনজীবীরা। এছাড়া ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ গত ৪ বছরে দুই আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো-বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৈডালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল কুদ্দুস, তার ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, আফসার আলীর ছেলে রায়হান ফকির, আবদুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী, নিজাম উদ্দিন দুলুর ছেলে আসলাম ফকির, রমেশ উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান রনি এবং রণবাঘা গ্রামের রবিউল্লাহর ছেলে মুকুল হোসেন, নাইম উদ্দিনের ছেলে শুকুর আলী, ঈমান আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও জোব্বার আলীর ছেলে মো. রিপন। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান ও রিপন পলাতক রয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, আসলাম ফকির ও আবদুল কুদ্দুস। গ্রেফতার ৯ আসামির সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে।

এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার আকরাম হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের মা বিউটি বেগম ঠনঠনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। আসামিরা ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে তাকে অপহরণ করে। নন্দীগ্রাম উপজেলার চৈতন্যপুর-কৈডালা সড়কের পাশে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ওইস্থান থেকে কাঁথা ও চাদর মোড়ানো তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে। গলায় জখম, বাম চোখে আঘাত ও নাকমুখ দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। হরিশ চন্দ্র নামে চৌকিদার এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার তৎকালীন এসআই পঞ্চনন্দ সরকার তদন্তকালে জানতে পারেন, এটি অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা। তিনি ১১ আসামির মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেন। এদের দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর মামলাটি বিচারের জন্য প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে।

স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জ্জী জানান, ‘তিন বছর আগে চার্জশিট হলেও প্রভাবশালী আসামিদের তদবিরের কারণে চার্জগঠনে বিলম্ব ঘটে। বুধবার বিচারক একেএম ফজলুল হক শুনানি শেষে পলাতক দুই জনসহ মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।’

জামিনে থাকা ৯ আসামি বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। এখন মামলার সাক্ষী শুরু হবে। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু ও আবদুর রশিদ-১ মামলা পরিচালনা করছেন।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা