শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের ১০ বছর মেয়াদে শিক্ষাসহ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে; কিছু সমস্যাও রয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি।’
শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী আয়োজিত ‘শিক্ষায় চট্টগ্রাম: একগুচ্ছ প্রস্তাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘চট্টগ্রামে সরকারি স্কুলের অপ্রতুলতা রয়েছে। এ কারণে এখানে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে; যা দেশের আর কোথাও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে শিক্ষার মান কমেছে। তবে আমরা তা সত্য বলে মনে করি না। শিক্ষার মান কমলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এভাবে হতো না। আমরা কল্পনা করিনি, বাংলাদেশ আজকে এপর্যায়ে পৌঁছাবে, এতো শিক্ষার্থী এনরোলমেন্টে থাকবে, ড্রপ-আউট রেট কমবে। শিক্ষার যে লক্ষ্য– দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা, সেখানেও আমরা আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছি।’
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘মিডিয়ার সামনে এসে সব সমস্যার সমাধান করে দেবো, বক্তব্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাই না। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করতে চাই। কাজের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনৈতিক কর্মী, আমাদের যে রাজনীতির ধারা, সেখানে আমরা ভাষণ আর স্লোগানেই সীমাবদ্ধ থাকি। তবে নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য ভাষণ-স্লোগান নয়, নীতি নির্ধারণী আলোচনা প্রয়োজন। ঠুনকো প্রতিশ্রুতি, মিথ্যা আশ্বাস দিতে চাই না; কাজ করতে চাই। প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সরকার যে প্রতিশ্রুতি দেয় সেটির বাস্তবায়ন হয়ই।’
সাংবাদিক রতন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বৈঠকে ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম, মাউশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মাউশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন প্রমুখ।