মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজনেরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারে রানা প্লাজার সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার দিকে রানা প্লাজার সামনে এসে জড়ো হন নিহতদের স্বজনেরা। এরপর নিহতদের স্মরণে একমিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন তারা। পরে তারা রানা প্লাজার সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন ও অস্থায়ী বেদীতে ফুল দেন। নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও আহত শ্রমিকেরাও যোগ দেন।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত শ্রমিক নিলুফা বেগম বলেন, তিনি রানা প্লাজার ৮ তলায় নিউ স্টাইল লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন। ভবন ধসে প্রাণে বেঁচে গেলেও তার বাম পায়ে প্রচন্ড আঘাত পান। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পারায় তার পায়ে ক্যান্সার হয়ে গেছে। পা কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সরকারের কাছ থেকে কিছু অর্থ সাহায্য পেলেও তার বেশিরভাগটাই চিকিৎসার পেছনে ব্যয় হয়েছে। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
মোমবাতি প্রজ্জলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও শিল্পশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজনসহ বিভিন্ন সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী জানান, রানা প্লাজার শ্রমিকদের এখনও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তাদের যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা অনুদানের। সরকারিভাবে তাদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক ও নিহতদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তারা। এ ছাড়া, ২৪ এপ্রিলকে শোক দিবস ঘোষণাসহ ভবন ধসের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের করুণ মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েক হাজার শ্রমিক।