X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
নুসরাত হত্যাকাণ্ড

পুলিশের গাফিলতির ব্যাপারে স্থানীয়দের মত নিয়েছে তদন্ত কমিটি

ফেনী প্রতিনিধি
২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৯আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৯

নুসরাত জাহান রাফি

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ সদর দফতরে একটি তদন্ত দল। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সোনাগাজীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,  স্থানীয় সাংবাদিক এবং মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীর মৌখিক ও লিখিত মতামত গ্রহণ করেছে এই কমিটি।

পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্রাট মো. আবু সুফিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি মো. রুহুল আমীনের নেতৃত্বে এর আগেও তিন দিন ধরে তদন্ত করেছে কমিটি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নুসরাতের পরিবার, শিক্ষক, পুলিশ, শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু তথ্য পাওয়ায় আবারও তদন্তে এসে স্থানীয় সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যান এবং মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত দল। পুলিশের গাফিলতির ব্যপারে এই কমিটির প্রধান পুলিশ সদর দফরের ডিআইজি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাবেন। ইতোমধ্যে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, সেসব যাচাই বাছাই চলছে। প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।

এর আগে তদন্তে এসে ডিআইজি রুহুল আমীন বলেছিলেন, ২৭ তারিখের যৌন হয়রানির ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, ম্যানেজিং কমিটি ব্যবস্থা নিলে নুসরাতের গায়ে আগুনের ঘটনা এড়ানো যেতো। প্রাথমিকভাবে নুসরাতের ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসির ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অনেক খারাপ হিস্ট্রি রয়েছে। গভর্নিং বডির সদস্যরাও তা জানতেন। যদি তার ব্যপারে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে আজকে এই ধরনের ঘটনা ঘটতো না। এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতির বিষয়ও জড়িত। একই দলের দুজন কাউন্সিলর অধ্যক্ষের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে।

তদন্ত কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে বলেও জানিয়েছিলেন ডিআইজি রুহুল আমীন।  

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ৮০ ভাগ দগ্ধ অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

এই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন। 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দেশের জন্য কাজ করতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
নির্মোহ মূল্যায়নের খোঁজে জাসদ
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সাফজয়ী ভাইয়ের সঙ্গে লড়াই, নেই কোনও ছাড়
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী