সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই এমপিসহ বিএনপির চার এমপি। তারা শপথ নেওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মাঝে। একাংশের নেতাকর্মীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে। তবে অপর অংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। শপথ নেওয়া এমপিদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এই নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের এমপি ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি আমিনুল ইসলাম শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পরপরই জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে হারুনুর রশীদের সমর্থকরা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল করেন।
এসময় সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শপথ নেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপি, সদর থানা ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই এমপিকে ধন্যবাদ জানাই। তারা জনগণের এবং নেতাকর্মীদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা পূরণ করবেন।’
এদিকে, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ পাঠান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রেখে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমপিরা শপথ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপি’র তৃণমুল নেতাকর্মীরা। এ শপথ নেওয়ায় দলের প্রতিনিধি হিসেবে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। দলের স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য মূল্য দিতে হবে। অবশ্যই দল এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দল থেকে বহিঃষ্কার এমনকি সদস্যপদটুকুও রাখা যাবে না।’
বিএনপি’র এই নেতা আরও বলেন, ‘যদিও এমপিরা গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন, তারেক রহমান এবং দলীয় সিদ্ধান্তে এ শপথ; আদৌ এটি সত্য নয়; সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার প্রমাণ হিসেবে শিগগিরই দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বিএনপি জনসমর্থিত একটি বিশাল দল, এতে দলের অবস্থা খারাপ হবে না। বরং দল আরও নতুন মাত্রায় উজ্জীবিত হবে।’
অপরদিকে, জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু জানান, ‘দলীয় সিদ্ধান্তে যদি এমপিরা শপথ নিয়ে থাকেন তাহলে স্বাগত। তা না হলে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গকারী হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে দল। আমরা বিএনপি করি, বিএনপির পক্ষেই আমরা থাকবো। এর বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’