পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘কৃষকের মুখে হাসি দেখলে প্রধানমন্ত্রীর মুখে হাসি ফোটে। তাদের দুঃখে তিনি কাঁদেনও। সুখ-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশেও দাঁড়ান তিনি।’
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় পাকনার হাওরের মুচিবাড়ি ফসলরক্ষা বাঁধ ও ফসলি জমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবছর চারশ’ পঞ্চাশ কিলোমিটার ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের ৮০ ভাগ বোরো ফসল কাটা হয়েছে। ২০১৭ সালের পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। হাওরবাসী যেন নির্বিঘ্নে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে সাড়ে পাঁচশ’ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নদীভাঙন কবলিত ৫৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা স্পটে গিয়ে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাচ্ছি। যেখানে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে আমি নিজে ২১টি এলাকা সফর করেছি। হাওরে এসে আমি দেখলাম, ধানে চিটার পরিমাণ বেশি। বিষয়টি আমি কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবো। আগামীতে যাতে হাওরবাসী শতভাগ ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন, ধানের ন্যায্যমূল্য পান, উৎপাদন খরচ কমাতে পারেন –এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবো।’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন খাদ্য রফতানি করি বিদেশে। এতে হাওরের কৃষকের অবদান রয়েছে। আমরা বলি বাংলাদেশ এখন আর খাদ্যঘাটতির দেশ নয়। হাওরবাসীর জন্য আমাদের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। হাওরের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এসময় আরও ছিলেন– সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী নেজামুল হক ভুইয়া, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।