পাবনার আমিনপুর থানার ত্রিমোহনী তালিমনগর গ্রামে শজি খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ননদ সামেলা খাতুনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শজি খাতুনের স্বামী জেলার আমিনপুর থানার ত্রিমোহনী তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মণ্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে তার বোন সামেলার অ্যাকাউন্টে সংসারের টাকা পাঠাতেন। ননদ সেখান থেকে প্রতিমাসে মাত্র তিন হাজার টাকা করে দিতেন ভাবী শজি খাতুনকে। অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ি, ননদ, ভাসুর ও জা-এর সঙ্গে কলহ দেখা দেয় শজি খাতুনের।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে কেরোসিন ঢেলে শজি খাতুনের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ননদ সামেলা খাতুনকে আটক করে।’
এদিকে চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগুনে শজি খাতুনের শরীরের ৫০ ভাগের বেশি পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।