মাগুরায় বোরো ধান ঘরে উঠলেও এর নিম্ন দরে হতাশ কৃষকরা। বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষককে স্বপ্ন দেখালেও এর বাজার মূল্য কম হওয়ায় স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নে রূপ নিচ্ছে।
শেষ হয়ে আসছে বোরো কাটার মৌসুম। মাগুরার কৃষকরা ধান তুলছে ঘরে। বাজারে বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। এতো নিম্ন মূল্যে কৃষকরা হতাশ। তাদের দাবি অবিলম্বে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু করুক সরকার।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এবছর ৩৯৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বোরো ঘরে তোলার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে।
নিজনানাদুয়ালী গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন বলেন,‘এবছর আমি দেড় বিঘা জমিতে বেরো চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। স্থানীয় আড়তদাররা প্রতি মনে ৬০০ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছে না। আমার শ্রম, উৎপাদন খরচ সব মিলে এ দাম একবারেই কম। আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে সরকার যেন বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু করে। নইলে আমাদের লোকসানে ধান বিক্রি করতে হবে।
শ্রীপুরের নাকোল গ্রামের কুষক সাইফুল ইসলাম বলেন,‘বোরো ধানের উৎপাদন ব্যয় দিনে দিনে বেড়েই চলেছে আবার ধানের দর নিম্নমুখী। এ অবস্থায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী বছর থেকে আর বোরো চাষ করবো না।
স্থানীয় প্রকৃতি ও কৃষি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা পল্লী প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘গত বছর মাগুরায় ৪১২২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হলেও এবছর তা কমে ৩৯৯৫০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। এর একমাত্র কারণ হলো ধানের দর পতন। এভাবে চলতে থাকলে মাগুরায় এক সময় বোরো ধানের চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। একমাত্র সরকারই পারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এ অবস্থা থেকে কৃষি ও কৃষকদের রক্ষা করতে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মইনুল ইসলাম বলেন,‘সরকার প্রতিবছরই বোরো সংগ্রহ অভিযান প্রক্রিয়া হাতে নেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। নীতিগতত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, এখন বাস্তবায়ন শুধু সময়ের ব্যাপার।