বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলরত বিলাসবহুল লঞ্চের বিশেষ সার্ভিসের কেবিনের জন্য আগাম স্লিপ জমা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ওই স্লিপগুলো যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তীতে কেবিনের টিকেট দেওয়া হবে। তবে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে কয়েকটি লঞ্চ কোম্পানি।
সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচলরত ৩টি লঞ্চের কেবিনের টিকেট বিক্রির জন্য স্লিপ জমা নেওয়া হচ্ছে। পরে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত যাত্রীদের কেবিনের টিকেট দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বরিশাল-ঢাকা রুটের কীর্তনখোলা লঞ্চের সত্ত্বাধীকারী মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানান, এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রিনলাইনসহ অন্যান্য লঞ্চ কোম্পানিগুলো ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে নগদ টাকায় ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি করেছে।
এবারের ঈদে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে ২৩টি বেসরকারি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। এর মধ্যে গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির ২টি এবং অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির একটি জাহাজ দিবা সার্ভিসে চলবে।
এদিকে গত ১১ মে থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে বিশেষ সার্ভিসের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানী। ১২ মে ঈদের বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিটের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র বা আবেদন গ্রহন করেছে সুরভী লঞ্চ কোম্পানি। আগামীকাল ১৬ মে পর্যন্ত চাহিদাপত্র গ্রহণের পর যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট বিক্রি শুরু করবে তারা।
এছাড়াও রাষ্ট্রিয় নৌ-পরিবহন সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র ৫টি জাহাজ-স্টিমার এবারের ঈদে নিয়মিত এবং বিশেষ সার্ভিসে ঢাকা-বরিশাল-মোড়লগঞ্জ রুটে চলবে।
বিআইডব্লিউটিসি বরিশালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, মধ্য রমজান থেকে বিআইডব্লিউটিসি’র জাহাজ-স্টিমারে বুকিং নেওয়া শুরু হবে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোড়দার করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।