X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনী শহরে প্রতিদিন ২৫ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি

ফেনী প্রতিনিধি
২০ মে ২০১৯, ১০:২৬আপডেট : ২০ মে ২০১৯, ২০:২১

ইফতার সামগ্রী ফেনীতে রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে জমে উঠেছে ইফতারের দোকানগুলো। জেলা শহরের প্রায় একশ’ দোকানে প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ টাকার ইফতারি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১৯ মে) বিকালে সরেজমিন ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, মহিপাল, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, লালপুল, জেল রোড, কলেজ রোড, ফেনী মডেল থানার সামনে, সদর হাসপাতাল মোড় ও স্টেশন রোডে সরেজমিন দেখা গেছে, এসব দোকানে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বিকাল গড়িয়ে ইফতার পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগে ছিল।

দোকানিরা জানান,গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতাসমাগমে কোনও কমতি নেই। রমজানের প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে ইফতারের দোকানগুলো। দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় আর বিক্রেতার ব্যস্ততায় সরগরম থাকে ইফতার বাজার।

এসব ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, শাহী জিলাপি, ছোলা, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেঁয়াজু, ডিম চপ, সবজি রোল, চিকেন রোল, চিকেন টিক্কা, চিকেন বিরানি, ডিম খিচুড়ি, কাঁচা বুট, চিকেন জালি কাবাব, মাটন জালি কাবাব, নারিকেল সমুচা, পাটিসাপটা, লাচ্ছা সেমাই, চিকেন হালিম ও ফিরনি। তবে এরমধ্যে বেশি কদর জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেঁয়াজু ও হালিমের।

রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের খেজুর ও মুড়ি। খেজুর সর্বনিম্ন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং মুড়ি ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জিলাপি ১০০ থেকে ১৬০, বুন্দিয়া ১২০ থেকে ১৬০, সিদ্ধ ছোলা ১১৫ থেকে ১৫৫ কেজি, ছানার পোলাও ১৫০ থেকে ১৬০, বেগুনি ৪ ও ৬ টাকা পিস, আলুর চপ ৩ থেকে ৫ টাকা, পেঁয়াজু ৩ থেকে ৫ টাকা, সবজি রোল ৮ থেকে ২৫ টাকা, শামি কাবাব ৩০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইফতার সমগ্রী কিনছে ক্রেতারা

ফেনীর ট্রাংক রোড, জেল রোড ও মহিপালে ইফতারি কিনতে আসা সাজু, শামীম, বিকাশ, হৃদয়, মেজবাহ, মামুন, শহিদুলসহ কয়েকজন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর দাম কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে অনেকেই পছন্দের ইফতারি কিনতে পারছেন না।

ট্রাংক রোড এলাকায় ইফতার কিনতে আসা আমজাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ইফতার সামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রঙ। কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় ছোট-বড়-মাঝারিসহ অধিকাংশ দোকানে দেদার এসব ইফতারি বেচাকেনা হচ্ছে। আর আমার মতো ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছেন এই বিষাক্ত খাদ্য ক্রয় করতে।’ এদিকে মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় বিক্রেতারা বেশ খুশি।

ফেনীর অতিথি হোটেলের নির্বাহী পরিচালক ভিপি আতিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেনীর ঐতিহ্যবাহী হোটেল হিসেবে খাদ্যের মান বজায় রেখে রমজান মাসে রোজাদারদের চাহিদা অনুযায়ী সুস্বাদু ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হয়। প্রতিদিনই বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ইফতারির জন্য ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে।’

ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফু জানান, ফেনীতে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। গত বছরের চেয়ে এবার ব্যবসায়ীদের বিক্রয়ও বেশি। হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ইফতারি বিক্রি হচ্ছে।

 

/জেবি/এমওএফ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর বোল্ট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর বোল্ট
রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ওয়ান্ডারার্স 
রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ওয়ান্ডারার্স 
ঘামে ভেজা ত্বকের যত্নে...
ঘামে ভেজা ত্বকের যত্নে...
চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলন
চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলন
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা