বরিশালের গৌরনদীর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সীর ফিলিং স্টেশনে ছায়া সরাতে সামাজিক বনায়নের পাঁচটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো কাটা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুজ্জামান। উপজেলা বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাম্পের লাইট পোস্টে গাছের ছায়া পড়ায় গাছগুলো কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, বন বিভাগের গাছ বিক্রি বা কাটতে হলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনুমতি নিতে হয়। এরপর সভার রেজ্যুলেশন মোতাবেক টেন্ডার দিয়ে গাছ বিক্রি করতে হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেট্রোল পাম্পটি এখনও চালু হয়নি। পাম্পের প্রবেশ পথের উত্তর পাশে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির পাঁচটি রেইনট্রি গাছ ছিল। গাছের কারণে পাম্পে থাকা লাইটের ওপর ছায়া পড়তো। এ কারণে পাম্প মালিক ব্যবসার সুবিধার্থে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্রনাথ হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে টেন্ডার ছাড়াই মঙ্গলবার (২৮ মে) পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন বলেন, ‘উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্রনাথ হালদার মাসিক সভার অনুমোদন ছাড়াই কীভাবে ভাইস চেয়ারম্যানকে গাছ কাটার অনুমতি দিলেন তা আমার জানা নেই। তার কাছেই বিষয়টি জিজ্ঞাসা করুন। তিনি এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’
মনিন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘গাছের কারণে পাম্পের লাইটে আলোতে ছায়া পড়ছিল। এ কারণে আমরা তিনটি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিলাম।’
অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে নুরুজ্জামান বলেন, ‘গাছ কাটার জন্য উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে তিন মাস আগে আবেদন করি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও সামাজিক বনায়নের সভাপতি তাদের শ্রমিক দিয়ে গাছ কেটে নিয়েছে। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।’