পুঠিয়া উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়ায় একটি ইটভাটা থেকে মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টার দিকে এক শ্রমিক নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। নিহতের নাম নূরুল ইসলাম (৬৫)। তিনি উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি। সম্প্রতি জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। এ নিয়ে তিনি একটি মামলা করেছিলেন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার বারঘরিয়া গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি ইটভাটায় তার মরদেহ পড়ে ছিল। স্থানীয়রা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। লাশের মাথা এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
তিনি জানান, হত্যার কারণ তদন্ত করছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলামকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে পুঠিয়া উপজেলা সদরে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত নূরুল ইসলামের মেয়ে নাজমুন নাহার দাবি করেন, ‘সম্প্রতি রাজশাহী জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আমার বাবা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে কারচুপি করে বাবাকে পরাজিত দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুর রহমান পটলকে নির্বাচিত করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ ঘটনায় বাবা আদালতে একটি মামলা করেছেন, যার কারণে বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়। তারপর থেকে বাবার ফোন বন্ধ। সারারাত তিনি নিখোঁজ ছিলেন।’