শেরপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যুবক মিলন মিয়ার (৩৬)যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর শেরপুর সদরের গাজীর খামার ইউনিয়নের হতদরিদ্র ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চার মাস ধর্ষণ করে মিলন মিয়া। এর মধ্যে ওই কিশোরীর পেটে সন্তান আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষককে বলা হয় ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে। কিন্তু সে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে। পরে ওই কিশোরী শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।
পিপি আরও জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩১ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জ্যোতিষ মজুমদার। মামলার শুরু থেকে আসামি পলাতক ছিল, তাই বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়েছে।