পুলিশের কনস্টেবল পদে ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে দেশে প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আঙুলের ছাপ চাল হলো নাটোরে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আঙুলের ছাপ দিয়ে প্রার্থিতার তথ্য নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে নাটোর পুলিশ লাইন্স চত্বরে শুরু হয়েছে পুলিশের এই রিক্রুট। প্রায় ২৪০০ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন এই পরীক্ষায়। শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৬৯ জন নিয়োগ পাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
শুধু আঙলের ছাপই নয়, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে যাতে অর্থের কোনও লেনদেন না হয় সেজন্য তথ্য দিতে চালু করা হয়েছে দুটি হট লাইন। এ বিষয়ে স্থানীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এক শ্রেণির দালাল প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে। বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়। কিন্তু ১০০ টাকা সরকারি ফি জমা দিয়েই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনও প্রার্থী অতিরিক্ত অর্থ লেনদেন করলে তার প্রার্থিতা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।’
তিনি জানান, শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে পুরুষ কনস্টেবল পদে ২৩ জন, নারী কনস্টেবল পদে চারজন, বিশেষ কোটায় অপূরণকৃত পদে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১৮ জন সর্বমোট ৬৯ জনের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসন যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছেন তা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে অন্তরালে যাতে কোনও বৈষম্য বা দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে মনিটরিং এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাই।’