X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিফাত শরীফের ওপর হামলার পরের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়!

বরগুনা প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০১৯, ২৩:৩৬আপডেট : ৩০ জুন ২০১৯, ০০:৪৯

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ৯ আসামি

বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে শাহনেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ) কুপিয়ে আহত করার ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করলেও তাৎক্ষণিক কোনও ভূমিকা রাখেনি পুলিশ। সকাল সাড়ে দশটায় ঘটনাটি ঘটার পর থেকে বিকাল চারটায় তিনি মারা যাওয়া পর্যন্ত মধ্যবর্তী সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আর এই সুযোগেই হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ওই ঘটনার পর রিফাত ও তার স্ত্রী মিন্নির পরিবার এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ নিজে উদ্যোগী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজার চেষ্টা করলে হয়তো মূল আসামিদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করতে পারতো।

গত বুধবার (২৫ জুন) বরগুনা কলেজের ভেতর থেকে রিফাত শরীফকে বের করে এনে কলেজের সামনের রাস্তায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। এসময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ঘাতকদের বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে এক ঘাতককে আটকে রাখলে অন্য ঘাতক উপর্যুপরি কোপাতে থাকায় তার সে চেষ্টা বিফলে যায়। সন্ত্রাসীদের মধ্যে রিফাত ফরাজীর হাত থেকে রামদা খসে পড়ে গেলে তারা হামলা থামিয়ে ভেগে যায়। এরপর গুরুতর আহত রিফাত শরীফকে রিকশায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান মিন্নি। এ ঘটনার সময় আশেপাশে শত শত লোক জড়ো হলেও নয়ন বন্ডের সহযোগীরা চারপাশে ছড়িয়ে থাকায় কেউ তাদের আটকানোর সাহস করেনি। তবে হামলাকারীদেরই একজন রিশান ফরাজী চাইছিল রিফাত শরীফকে যেন প্রাণে মারা না হয়। এজন্য নয়ন বন্ডকে সেও আটকানোর চেষ্টা করে। নয়নের রামদা’র দু-একটি আঘাত তার শরীরেও লাগে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সেও দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে ভেগে যায়। ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে দূর থেকে ধারণ করা একাধিক ভিডিও ফুটেজে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রিফাত শরীফ। বুধবার প্রকাশ্যে খুন করে তাকে সন্ত্রাসীরা

মিন্নি ঘটনার পরদিন সাংবাদিকদের বলেছেন, স্বামীকে রিকশায় করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর শোনেন রিফাতকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই স্বামীর সঙ্গে সেখানে যাওয়া হয়নি তার। বাবার বাড়িতে স্বামীর মৃত্যু সংবাদ শোনেন তিনি।

এদিকে, রিফাত আহত হওয়ার ঘটনা শত শত লোকের সামনে ঘটায় বিষয়টি  কিছুক্ষণের মধ্যে সারা শহরে চাউর হয়ে যায়। ঘটনাটি সম্পর্কে থানা পুলিশও লোক মারফত অবহিত হয়। পুলিশের একটি মোবাইল টিম ঘটনার খোঁজ নিতে বরগুনা কলেজের সামনে ও পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যায় বলে পুলিশের দাবি। তবে আসামিদের ধরার ব্যাপারে তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনাটির ধারণ করা ভিডিও ফুটেজটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে ঘটনাটি সম্পর্কে জেনে যান এলাকাবাসীসহ সারাদেশের মানুষ। গুরুতর আহত রিফাতের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ওই মুহূর্তে ব্যস্ত ছিল দুই পরিবারের লোকজন। ফলে তখনও ঘটনাটির ব্যাপারে অভিযোগ করতে থানায় কেউ আসেননি তারা। শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিকাল চারটায় মারা যান রিফাত। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শোকের মাতম ওঠে রিফাত ও মিন্নির পরিবারে। এলাকাবাসীও তখন প্রকাশ্যে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিফাত শরীফের খুনিদের বিচার চেয়ে সরব হয়ে ওঠেন। কিন্তু, সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকাল চারটা— সন্ত্রাসীদের হামলায় রিফাত শরীফ গুরুতর আহত হওয়া থেকে তার মৃত্যুর মধ্যবর্তী এই সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময়ে পুলিশ যেন শুধুই ঘটনার দর্শক। তাদের কাছে তখনও এটি কেবলই ‘প্রেমঘটিত বিরোধে মারামারির ঘটনা’, খুনের সব ধরন উপস্থিত থাকার পরেও শহরের ভেতরে  প্রকাশ্য রাস্তায় ঘটা এই ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ প্রায় কিছুই করেনি। ঠিক এই সুযোগটা পেয়েই পগার পার হয়ে গেছে ওই হামলার ঘটনার সব আসামি। এমনকি হামলার মূল আসামি নয়ন বন্ড ওই ঘটনার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের ক্রোক এলাকায় অবস্থান করছিল বলেও একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

মিন্নি এবং আরেক যুবকের বাধা উপেক্ষা করেই রিফাতকে কোপায় নয়ন ও রিফাত ফরাজী

রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। এ মামলার আসামিরা হচ্ছে ক্রম অনুযায়ী সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি পাঁচ থেকে ছয় জন অজ্ঞাত আসামি। তবে হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পরও মূল আসামিদের পুলিশ ধরতে পারেনি হত্যাকারীদের। ১২ আসামির মধ্যে ধরা পড়েছে কেবল দু’জন। এরা হচ্ছে চন্দন ও মো. হাসান। আরেকজন গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন হিসেবে। নাজমুল হাসান নামের এই সন্দেহভাজনের মামলায় নাম নেই। এর মধ্যে গ্রেফতার দুই আসামি চন্দন ও হাসানের সাত দিন ও আরেক আসামি নাজমুল হাসানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাসেল এ রিমান্ড আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান চার আসামি যথাক্রমে: নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও চন্দন।

আজ শনিবার (২৯ জুন) বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে নিহত রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ বলেন, ‘যে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে মেরেছে, তারা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমার ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না। কিন্তু যে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই। চারদিন অতিবাহিত হলেও আজও হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনুন।’
তবে ঘটনার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল এমন অভিযোগ মানতে চাননি বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন। তার কাছে আসামি ধরার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মোবাইল টিমকে সেখানেই পাঠাই। সেখানে গিয়ে রিফাতকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল  হাসপাতালে পাঠাই। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে আমার তিনটি মোবাইল টিম নিয়ে আসামিদের ধরতে  অভিযান পরিচালনা  করি। আমরা ঘটনার পর থেকেই আসামি ধরতে তৎপরতা শুরু করি।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনের কাছে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা অভিযান অব্যাহত আছে। র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।  শীঘ্রই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

ঘটনার পর মামলার প্রধান আসামি বরগুনা শহরের ক্রোক এলাকায় হামলার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অবস্থান করছিল তারপরও কেন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাদের অভিযান শুরু করে। এঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ অভিযান শুরু করায় সম্ভব্য যেসব জায়গা থেকে পালিয়ে যেতে পারে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে নয়নের অবস্থান ক্রোক এলাকায় ছিল কি না সে বিষয়ে তাদের  জানা নেই।

মামলার ১২ আসামি:

মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড

নয়ন বন্ড

বরগুনা পৌর শহরের ডিকেপি রোড এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড)। সেই এই ঘটনার মূল হোতা। শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি সড়ক, কেজি স্কুল ও ধানসিঁড়ি সড়কে মূলত নয়নের বিচরণ ছিল। ছিনতাই, ছাত্রদের মুঠোফোন জিম্মি করে টাকা আদায়, ছোটখাটো মারধর থেকে তার অপরাধ প্রবণতা শুরু। ২০১৭ সালে পুলিশি অভিযানে নয়নের কলেজ রোডের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তাকে আটক করে পুলিশ। ওই মামলায় জামিনে আসার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে নয়ন। এরপর সে নিয়মিত মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যায় এবং রিফাত ফরাজীকে সঙ্গে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে।

রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিকে নিজের স্ত্রী ও প্রেমিকা দাবি করে বুধবার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রিফাতকে খুন করে নয়ন। এলাকার পরিচিত মুখ হওয়ার পরও পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে পারছে না।

রিফাত ফরাজী রিশান ফরাজী:

রিফাত ফরাজী

বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়ক এলাকার দুলাল ফরাজীর দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর অপরাধে দীক্ষা অনেক বছরের। এলাকায় মস্তানি ও আশোপাশের ছাত্রবাসগুলোতে চুরি করার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে নয়ন বন্ডের সঙ্গে তাদের সখ্যতা তৈরি হয়। নয়নের সঙ্গে এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে। রিফাত ছিল এই গ্রুপে নয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে হওয়ার সুবিধা নিয়ে এলাকায় তার নাম ভাঙিয়ে অপরাধী কার্যক্রম চালাতো তারা। এ হত্যা মামলায় দুই ভাই প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী দুজনেই রিফাত শরীফকে ইচ্ছেমতো কোপাচ্ছে। রিফাতের স্ত্রী মিন্নি যখন নয়ন বন্ডকে আটকে রাখার চেষ্টা করছিল তখন রিফাত শরীফকে ইচ্ছেমতো কোপাতে থাকে রিফাত ফরাজী। তবে রিশানকে সে ভূমিকায় দেখা না গেলেও রিফাত শরীফের অবস্থা বেগতিক দেখে সে নয়নকে হামলা থেকে থামার জন্য চিৎকার করে। এসময় নয়নের রামদার উল্টো পাশের একটি আঘাত তার পিঠে ও আরেকটি কোপ তার পায়েও লাগে। তবে রিফাত শরীফকে খুনের পরিকল্পনাসহ তার ওপর হামলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। মামলাটি দায়ের হওয়ার পর থেকেই এই দুই দুর্বৃত্ত পলাতক। বৃহস্পতিবার ধানসিঁড়ি সড়কে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির মূল দরজায় তালা ঝুলছে। তাদের কারণে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ভেগে গেছে।

রিশান ফরাজী

চন্দন

চন্দন

এ মামলার চার নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত চন্দন (২১)। মামলার এজাহারে তার বিস্তারিত পরিচয় ও বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তার বাড়ি বরগুনার আমতলা পাড়। নয়ন বন্ডের সাগরেদ হিসেবে সব সময় তার সঙ্গে ঘোরাফেরা করতো চন্দন। তার নামেও এলাকায় অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে। রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে রিমান্ডে আছে সে।

মো. মুসা

মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে মামলায় তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রিফাতকে হত্যার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে সে।

মো. রাব্বি আকন (১৯)

রাব্বি আকন

মামলার ছয় নম্বর আসামি। তার বাবার নাম কালাম আকন। বাড়ি বরগুনার কেওড়াবুনিয়ায়। 

মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯)

মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত



মামলার সাত নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনার কলেজিয়েট স্কুল সড়কে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে সে এলাকায় ঘোরাফেরা করতো বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

রায়হান (১৯)

রায়হান

মামলার আট নম্বর আসামি। বরগুনা কেজি স্কুল সড়কে তার বাসা। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

 

মো. হাসান (১৯)

মো. হাসান



মামলার ৯ নম্বর আসামি। শহরের কলেজ রোড এলাকায় বাসা। বাবার নাম এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

রিফাত (২০)

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এই রিফাতও ১০ নম্বর আসামি। তার বাড়ি সোনালী পাড়ায়। তবে ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছাড়া। 

অলি (২২)

সোনালী পাড়ারই আরেক যুবক অলি এই হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের সময় রিফাত শরীফকে বরগুনা কলেজ থেকে টেনে বের করে আনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী গ্রুপের অন্যতম সদস্য ও তাদের সহযোগী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক। 

টিকটক হৃদয় (২১)

টিকটক হৃদয়

মামলার ১২ নম্বর আসামি। তার বিষয়ে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

 

/এফএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা