বগুড়া শহরের গণ্ডগ্রামে রমজান আলী নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা চেষ্টা মামলায় বহিষ্কৃত জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও শহর যুবদলের সভাপতি মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ রবিউল আউয়ালের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। বিচারক শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় হাইকমান্ড সম্প্রতি ১৬ নেতাকর্মীর সঙ্গে তাকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে।
এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন বিকাল সোয়া ৪টার দিকে শহরের মাটিডালি এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় অবরোধকারীরা শহরের গণ্ডগ্রাম মিয়া বাড়ির কবরস্থানের সামনে কনস্টেবল রমজান আলীর গলা ও কোমরে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার শ্বাসনালী কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মাসুদকে বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার সিএমএইচে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় যুবদল নেতা মাসুদ রানাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এ ঘটনায় বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ রবিউল আউয়াল গত ১২ মার্চ মাসুদ রানাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অপর তিন আসামি শাহীন, হোসেন আলী ও বাবু মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার আগে মাসুদ রানা জানান, তার বিরুদ্ধে ১১৪টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। প্রথম রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার বিচারে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষযক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ জানান, সরকারের মিথ্যা মামলায় মাসুদ রানাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।