X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের জন্য একেক দিন একেক ছাত্রীকে বেছে নিতো বেলালী

হানিফ উল্লাহ আকাশ, নেত্রকোনা
০৬ জুলাই ২০১৯, ২৩:৪১আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:৫৫

 

আবুল খায়ের বেলালী একেকদিন একেক ছাত্রীকে নিজকক্ষে ডেকে নিতো অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বেলালী। এরপর সেবার নামে চলতো যৌন নির্যাতন। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাদে আঠারো এলাকায় ‘মা হাওয়া কওমি মহিলা মাদ্রাসা’য় এ ঘটনা ঘটেছে। মামলার তদন্তকারী ও নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মাদ শাহজাহান মিয়া তার ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা জানান। তিনি প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ জুলাই) এ পোস্ট দেন।

মাদ্রাসাটি কেন্দুয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত।

আবুল খায়ের বেলালী মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ জুলাই) জুমার নামাজের আগে অধ্যক্ষ বেলালী দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ খবর শুনে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে তারা মাদ্রাসায় গিয়ে বেলালীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বেলালীকে আসামি করে শুক্রবার কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমন ঘটনা শুনে অন্য এক ছাত্রীর বাবাও শুক্রবার (৫ জুলাই) ধর্ষণের আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দেড় মাস আগে বেলালী এই মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তার বাড়ি পাশের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সোনাকানী গ্রামে।’

সংস্কৃতিকর্মী রহমান জীবন বলেন, ‘বাবা-মায়েরা তাদের কোমলমতি শিশুদের এই শিক্ষকের ওপর বিশ্বাস করে মাদ্রাসায় দেন। অথচ সেই শিক্ষক এমন জঘন্য কাজ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’

ফেসবুক পোস্ট মামলার তদন্তকারী ও নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মাদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘বেলালীকে শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। বেলালী ১৬৪ ধারায় আদালতের বিচারক জুয়েল ম্রংয়ের উপস্থিতিতে ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বেলালী আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। শিগগিরই তদন্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।’

উল্লেখ্য, কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকায় ২০১৫ সালে জহিরুল ইসলাম ভূইয়া (কাজল) মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়রা জানান, পরে এখানে শিক্ষকতা শুরু করেন বেলালীর স্ত্রী ও শ্যালিকা। দেড় মাস আগে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন বেলালী। এখানে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত পড়ানো হয়।

আরও খবর...
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গণপিটুনি

 

/এনআই/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!