X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

মো. নজরুল ইসলাম (টিটু), বান্দরবান
০৭ জুলাই ২০১৯, ১৪:২১আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৫:৪৭

টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা শনিবার মধ্যরাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এভাবে টানা বৃষ্টি হলে পাহাড় ধসের পাশাপাশি যেকোনও সময় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা।
এদিকে রবিবার সকালে পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সরেজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের সদর, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, থানচি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এরমধ্যে সদর ও লামা উপজেলায় বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে উন্নয়নের নামে পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাটসহ নতুন সড়কে মাটি দেওয়া হয়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে ঘরের ওপর পড়ে। যার কারণে মাটিচাপা পড়ে প্রাণহানি ঘটে অনেকের।
লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে কোথাও পাহাড় ধস, হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’
টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা পরিবেশবাদী বেসরকারি সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে, বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা, কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, বনরূপা পাড়া, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, লাঙ্গিপাড়া, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, রনিনপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রুসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবার। চলতি বছরেও গড়ে উঠেছে আরও নতুন নতুন বসতি। ফলে গত বছরের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

জেলা তথ্য অফিস থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালে জেলা সদরে তিনজন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পাঁচজন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় দু’জন, ২০১২ সালে লামা উপজেলায় ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৫ সালে লামায় চারজন, সিদ্দিকনগরে একজন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় দু’জন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরের কালাঘাটায় সাতজন ও রুমা সড়কে ২৩ জুলাই পাঁচজন পাহাড় ধসে মারা গেছেন। টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃষ্টি শুরুর পরপরই সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যেক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত।’ প্রত্যেক উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নবযুগ প্রকাশনীর কর্ণধার অশোক রায় নন্দী মারা গেছেন
নবযুগ প্রকাশনীর কর্ণধার অশোক রায় নন্দী মারা গেছেন
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত