X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর, ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

নীলফামারী প্রতিনিধি
১২ জুলাই ২০১৯, ০২:৫৫আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৯, ০২:৫৫

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর, ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি উজানের ভারী বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) মো. নূরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) স্লুইচ গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি পরিমাপক) মো. আমিনুর রশিদ বলেন, ‘রাতে ওই পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে।’
এদিকে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়বাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৪টি চর ও চর গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পাশের লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার চর ও চরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর, ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ডিমলা টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নূল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার (৮ জুলাই) ভোর রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি ওঠানামা শুরু করে। এতে করে ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি, টাপুরচর, ঝিঞ্জিরপাড়া ও মেহেরটারী গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’
উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর, পুর্ব বাইশপুকুর, সতিঘাট ও ছোটখাতা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বেশ কিছু বাড়িতে পানি উঠেছে। এর মধ্যে ছোটখাতা গ্রামে ৪০০-৫০০ পরিবার ও বাইশপুকুরে ৪০-৫০ পরিবার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।’
ডালিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বৃহম্পতিবার বিকাল তিনটার পর থেকে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও রাতে আরও ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার মুন জানান, ‘বন্যার্তদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুর্গতদের তালিকা তৈরির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বন্যার্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
পানী উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও মানুষজন নিরাপদে আছে। জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে চর ও চর গ্রামগুলোতে মাইকিং করে লোক সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এই পরিস্থিতি এখনও বিরাজ করেনি। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের শতভাগ প্রস্ততি রয়েছে।’

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ