সাত বছর আইনি লড়াইয়ের পর রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) ৬২তম সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে তার নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৪ জুলাই) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন।
গত ৯ জুলাই ৩০ দিনের মধ্যে ইউসুফকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি শশাংক শেখর সরকারের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেরোবি কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর তিনজনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে বাছাই বোর্ড। কিন্তু প্রথমজনকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর তালিকার প্রথম স্থানে থাকা মোহাম্মদ ইউসুফ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোয় বর্তমান প্রশাসন ও উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘বাছাই বোর্ডের সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে প্রথম হওয়ার পরও আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমি সাত বছর পর ন্যায়বিচার পেলাম। আশা করি হাইকোর্টের নিদের্শ অনুযায়ী আমার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রদান করবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘আমি বরাবর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই হাইকোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছি। শুক্রবার ও শনিবার ছুটি থাকায় ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার ইউসুফের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ১৪ জুলাই থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন।’
উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। পরে আদালতের রায়ে ওই বিভাগে যোগ দেন নিয়োগ বঞ্চিত মাহামুদুল হক।