অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পানিতে পঞ্চগড় শহরসহ পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরের করতোয়া, মহানন্দা, ডাহুক, ভেরসাসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বেড়েছে।
পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখেই বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। টানা বৃষ্টির কারণে ভাসমান এবং দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রবিবার (১৪ জুলাই) জানা যায়, জেলা শহরের পৌর এলাকার নিমনগর, খালপাড়া, রামেরডাঙ্গা, রাজনগর, তুলারডাঙ্গা, সদর উপজেলার ধাক্কামারা, কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, পঞ্চগড় ইউনিয়ন, তেতুলিয়া উপজেলার শালবাহান, দেবনগর, তীরনইহাট, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে, বোদা উপজেলার পৌরসভা, বেংহারী বনগ্রাম, কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ, মাড়েয়া ইউনিয়নেও করতোয়া নদীর বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাংলাবান্ধা, তীরনইহাট, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া, দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ ও জামাদার গছ এবং ২ নং তিরনইহাট ইউনিয়নের খয়খাটপাড়া, ইসলামপুর, দরগাসিং ও কাশিবাড়ি এবং ৩ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের গোয়াবাড়ি, ভাদ্রুবাড়ি, রণচন্ডি, বুড়িমুটকী ও সরকারিপাড়া গ্রামের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা জানান, ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার এবং ৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।