যমুনা নদীর পানির তীব্র স্রোতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৫০ মিটার সড়ক ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি এলাকার এ সড়কটি ভেঙে যায়। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়াও ওই সড়কের অন্তত দশটি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। এর আগে বুধবার রাতে তাড়াই এলাকার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় দশটি গ্রাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে তাড়াই বাঁধটি বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেও তা রক্ষা করতে পারেননি। সংশ্লিষ্টরা যদি এর আগে তাড়াই এলাকার বাঁধটি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে এদিকে কোনও বন্যার পানি ঢুকতে পারতো না।
অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ খাদ্য ও বাসস্থান সংকটে পড়েছে। এছাড়াও গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।’