X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

১০০ দিনে ঘরে তোলা যায় খরা সহিষ্ণু ধান বিনা-১৯

মাজহারুল হক লিপু, মাগুরা
২১ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৩আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ২১:০৯

বিনা-১৯ ধানের আবাদ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কেন্দ্র উদ্ভাবিত খরা সহিষ্ণু আউশ ধান বিনা-১৯ চাষ নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।

মাগুরা বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুশান চৌহান জানান, এ বছর তারা মাগুরায় ২০ একর জমি বিনা-১৯ আউশ ধান চাষের আওতায় এনেছেন। যা থেকে ৩৫.৫০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জাতের ধানের সুবিধা হলো এটি খরা সহিষ্ণু ফসল। এটির চাষে প্রতি একর জমিতে ৪.৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। অন্যান্য ধান যেমন ঘরে উঠতে সময় লাগে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ১২০ দিন, সেখানে বিনা-১৯ মাত্র ৯৫ থেকে ১০০ দিনেই ঘরে তোলা যায়। এ জাতের ধানের চালও সরু এবং সুস্বাদু হয়।

এই ধানের উদ্ভাবক ড. আবুল কালাম আজাদ। 
মাগুরা বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুশান চৌহান আরও জানান, বিনা-১৯ ধান খরাপ্রবণ এলাকায় চাষ করা যাবে। পানি জমে থাকে কিংবা বেশি বৃষ্টিপাত প্রবণ এলাকায় এর চাষাবাদ ভালো হয় না। কৃষক চাইলে আবাদ করা ধান থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই বীজ বপন করেই ধানের চারা গজানো যাবে।

সদর উপজেলার কৃষক রইস শেখ বলেন, ‘আমি দেড় বিঘা জমিতে বিনা-১৯ জাতের ধান চাষ করেছি। ইতোমধ্যে তা ঘরেও তুলেছি। আমার উৎপাদনও বেশ ভালো হয়েছে। আমার সঙ্গে যারা সাধারণ জাতের ধান আবাদ করেছেন, তাদের ধান ঘরে উঠতে আরও একমাস সময় লাগবে।’

সদর উপজেলা রাঘবদাইড় ইউনিয়নের কৃষক গোলাম মাওলা জানান, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে বিনা-১৯ জাতের ধান চাষ করেছি। ইতোমধ্যে আমি ধান ঘরেও তুলেছি। সবচেয়ে সুখের খবর হলো, আমি খুব চিন্তায় ছিলাম এবার যে অতিরিক্ত খরা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে। কিন্তু, আমাকে পরে তা নিয়ে আর ভাবতে হয়নি। মাত্র একবার সেচ দিয়েই আমি ফসল ঘরে তুলেছি। যারা সাধারণ জাতের আউশ ধান চাষ করেছেন, তারা এ নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ মাগুরায় এবার অত্যধিক খরায় তাদেরকে বারবার জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে।

মাগুরা নতুন বাজারের ধান ব্যবসায়ী অরূপ সাহা বলেন, ‘আমরা বিনা-১৯ আউশ ধান একটু বেশি দামেই কিনছি। কারণ এর চালটি বেশ সরু এবং সুস্বাদু।’         

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, আমরা বিনা-১৯ আউশ ধান উৎপাদনে দারুণ সাফল্য পেয়েছি। কৃষক এর প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশা করি, আগামী বছর থেকে এর উৎপাদন বাড়তে থাকবে।

মাগুরার প্রকৃতি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা পল্লী-প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমার পিন্টু বলেন, ‘বিনা-১৯ জাতের ধান খুবই প্রকৃতিবান্ধব। দিনে-দিনে আবহাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি আমাদেরকে শঙ্কিত করে তুলছে। সেই সময় খরা সহিষ্ণু বিনা-১৯ এর উদ্ভাবন সত্যিই প্রকৃতির জন্য একটা সুসংবাদ। এটি একদিকে যেমন কৃষকের উৎপাদন খরচ কমাচ্ছে। অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানিকেও সাশ্রয় করছে।’

/এনআই/
সম্পর্কিত
বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে মাগুরায় নিহত ৩
‘কিংস পার্টিতে’ সাকিবের যোগদানের বিষয়টি জানেন না মহাসচিব
মেয়াদোত্তীর্ণ ৮০ বস্তা খেজুর বিক্রির পর  ১২০ বস্তা জব্দ
সর্বশেষ খবর
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: সতর্ক ম্যাক্রোঁর
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: সতর্ক ম্যাক্রোঁর
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে, শনিবারও ক্লাস চলবে
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা