বরিশাল নৌবন্দরের যাত্রীবাহী সুরভী-৮ লঞ্চে গার্মেন্টস কর্মী আখি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৮ এর উপপরিচালক মেজর সজিবুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইলের মাধ্যমে সুমনের সঙ্গে আখির পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু দুজনই তাদের বিবাহিত জীবনের বিষয়টি গোপন রেখে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। গত ১৯ জুলাই সুমন ও আখি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে ওঠে। মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে আখির গলা টিপে হত্যা করে কেবিনে অবস্থান করে সুমন। খুব ভোরে লঞ্চ ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুমন পালিয়ে যায়।’ জিজ্ঞাসাবাদে সুমন এসব তথ্য দিয়েছে বলে জানান র্যাব-৮ এর উপপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার সুমনকে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, সুমন সদরঘাটে ফলের ব্যবসা করে। সে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার উপজেলার নকবুল্লাহ সিপাহীবাড়ি এলাকার মানিক সিপাহীর ছেলে। সে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক।
নিহত আখি আক্তার ওরফে শারমিন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বড় পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারীর মেয়ে। সে বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের জননী।
প্রসঙ্গত, ২০ জুলাই সুরভী-৮ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে আসার পর স্টাফ কেবিন থেকে আখির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আখির পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।