পদ্মা নদী ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌরুট চালু, ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ চালু, পারস্পারিক শিক্ষা বিনিময় এবং রেশম শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস। সোমবার (২২ জুলাই) রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।
সোমবার বিকালে নগরভবনে পরিদর্শন করেন রিভা গাঙ্গুলী। এসময় তারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরআগে একে অপরকে সৌজন্য উপহার দেন।
পরে রাসিক মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে কয়েকটি ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করার কথা বলেছি। তিনি সেসব ক্ষেত্রে ভারত সরকারকে রাজি করানোর জন্য যত যতটুকু দরকার করবেন। পশ্চিম বাংলার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত নৌ রুটটি অনুমোদন আছে। সেটা ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে পুনঃখনন করে সারাবছর নদীর নাব্যতা বজায় রেখে নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, যাতে ভারত থেকে মালামাল আনা যায় এবং যাত্রী আনা নেওয়া করা যায়। আমি তার কাছে চেয়েছিলাম রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চালুর বিষয়ে। এটির ব্যাপারেও তিনি ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। এছাড়া বিমান চলাচলের কথাও বলেছি। রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে অতি শিগগিরই নতুন একটি দ্বিতল টামির্নাল ভবনের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। রানওয়েটি সম্প্রসারিত হওয়ার পরে সেখান থেকে কলকাতা এবং দিল্লি পর্যন্ত বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ঢাকা থেকে গৌহাটি বিমান চালু হয়েছে। এটিও করা যাবে,কোনও সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, মৃতপ্রায় রেশম শিল্পকে উজ্জীবীত করতে ভারত সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চান। তারা চান এই এলাকায় সিল্কের বিপুল সম্ভাবনা জেগে উঠুক, এক্ষেত্রে তারা সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন।
মেয়র লিটন বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে, তারা ইতিবাচক দিকগুলো অনুসন্ধান করতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশনার যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর দেখতে। সেখানে স্থলবন্দর বড় ক্যাপাসিটি নিয়ে করা যায় কিনা তা দেখতেই তিনি সেখানে যাবেন।’