X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

গণপিটুনি ঠেকাতে যাওয়া পুলিশের ওপর হামলা: ১২শ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৩আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৮

বগুড়া বগুড়ার গাবতলীর দুর্গাহাটা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার চার জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। সোমবার রাতের এই ঘটনায় ১২শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ১৩ জনকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। এদিকে তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ছেলেধরা সন্দেহে যাদের গণপিটুনি দেওয়া হয় তারা আসলে গাড়ি ছিনতাই করে পালাচ্ছিল।

গণপিটুনির শিকার হতে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান কর্ণিপাড়ার হযরত আলীর ছেলে ফাহিম প্রামাণিক (২৪), ধুনট উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের নজীর হোসেনের দুই ছেলে দুলাল হোসেন (২২) ও নিয়ামুল হোসেন (৩৬) এবং পারধুনট মধ্যপাড়ার আবদুর রশিদ আকন্দের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫)।

গাবতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, রংপুরের মিঠাপুকুরে কিছু আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার নাম করে রবিবার (২১ জুলাই) ঢাকার আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকার মুসা মিয়ার পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে এই চার ছিনতাইকারী। রাস্তায় তারা চালক শাকিল মিয়াকে মারপিট করে পিকআপ থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরার পর সোমবার (২২ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা এলাকায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে আসে। সেখানে তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে গ্রামবাসী ছেলেধরা সন্দেহে মারপিট শুরু করে। তখন দুর্গাহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মিঠু তাদের উদ্ধার করে পরিষদ অফিসে আনেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে হাট ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের হাজার খানেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। তারা ওই চার ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে চেয়ারম্যানসহ দুর্গাহাটা ইউপি কার্যালয় অবরোধ করে। একপর্যায়ে জনতা পিকআপটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি সাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ওসি সেলিম হোসেন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ছেলেধরা সন্দেহে আটক ওই চার জনকে থানায় আনার চেষ্টা করলে লোকজন তাতে বাধা দেয়। তাদের হাতে ওদের তুলে দেওয়ার দাবিতে মারমুখি আচরণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে আসে। একপর্যায়ে এসব লোক পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ইটের আঘাতে সাগর মিয়া নামে এক কনস্টেবল আহত হন। পুলিশ তখন লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখান থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় চারঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক চার জন ও গ্রেফতার ১৩ গ্রামবাসীকে নিয়ে পুলিশ গাবতলী থানায় আসে।
গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, ‘ছেলেধরা সন্দেহে আটকরা গাড়ি চোরচক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই করা গাড়ির মালিক মুসা মিয়া মামলা করবেন। গ্রেফতার ১৩ জনকে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোটের ওপর নির্ভর করে না: সাকি
সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোটের ওপর নির্ভর করে না: সাকি
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং দ্বৈরথ
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং দ্বৈরথ
বিপজ্জনক অবস্থা থেকে ফিরেছেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
বিপজ্জনক অবস্থা থেকে ফিরেছেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি