বগুড়ায় ৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ছয় নারীসহ ৪৮ জন। এছাড়া, ২৯ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ছয় জনকে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও ডেঙ্গু রোগ বিষয়ের সমন্বয়ক ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, সাধারণ ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হলেও হেমোরেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার কোনও সরঞ্জাম তাদের কাছে নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জাতীয় গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে চাইছেন, তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে এনেছেন। আক্রান্ত সবাই প্রথম ধাপে রয়েছেন। তাই তাদের ভয়ের কিছু নেই।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শহরের দুটি ক্লিনিজে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছয় রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শামসুন্নাহার ক্লিনিকে চার জন, ডক্টরস ক্লিনিকে একজন এবং দুপচাঁচিয়া সুপ্রিম ক্লিনিকে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বগুড়ায় এপর্যন্ত এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আক্রান্তরা সবাই ঢাকা থেকে জীবাণু বহন করে এনেছেন।’ সিভিল সার্জন সবাইকে বাড়িঘর ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও মশারি টানিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।