২০১৫ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহলগুলো বিনিময় করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন ছিটমহলের বাসিন্দারা। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে ‘ছিটমহল স্বাধীনতা দিবস’ বা ‘ছিটমহল বিনিময় দিবস’ নামে জাতীয় দিবসের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের বাসিন্দারা।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বিলুপ্ত ছিটমহলের সহস্রাধিক অধিবাসী জেলা শহরের শের-ই-বাংলা পার্ক এলাকায় জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ছিটমহল আন্দোলনের নেতা মফিজার রহমানসহ বিলুপ্ত ছিটমহলের অধিবাসীরা অংশ নেন।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিলুপ্ত ছিটমহলের নেতারা ছিটমহল বিনিময়ের দিনটিকে জাতীয় করার দাবিসহ বিলুপ্ত ছিটমহলে গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এনটিআরসিএ’র শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।