X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

থানা হাজতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ: তিন পুলিশ সদস্য এখনও বহাল

খুলনা প্রতিনিধি
০৭ আগস্ট ২০১৯, ২২:৫৫আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫১

খুলনা খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানা হাজতে তিন সন্তানের মাকে (৩০) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে ওসিসহ দুজনকে ক্লোজড করা হলেও এখন পর্যন্ত আরও তিন পুলিশ সদস্য বহাল রয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বুধবার (৭ আগস্ট) তাদের খুলনা জিআরপি থানা থেকে ক্লোজড করে পাকশি জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দুজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। আর ওই ঘটনার রাতে থানায় ডিউটিতে থাকা অন্য তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে, তাদের অবহেলাজনিত বিষয়টি এখনও সুস্পষ্ট নয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা হলো এসআই গৌতম কুমার পাল এবং কনস্টেবল মিরাজ ও হারুন।’

সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ আরও জানান, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা খুলনা জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের কারণে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘ওই নারী কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া এ বিষয়ে আদালতের কোনও নির্দেশনাও আমাদের কাছে নেই। তবে, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তদন্ত কমিটি কথা বলবে।’

উল্লেখ্য, ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরদিন শনিবার তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ এবং সদস্যরা হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ. ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:


খুলনায় পুলিশি হেফাজতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ওসি-এসআই ক্লোজড

খুলনা জিআরপি থানা হাজতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তরা এখনও বহাল তবিয়তে

খুলনায় রেলওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি

খুলনায় জিআরপি থানার ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

 

/এনআই/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’