স্বাধীন বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা স্মৃতি, যা দেখে তার জীবনযাত্রা অনুভব করেন দর্শনার্থীরা। এমনই এক স্মৃতি বহন করে চলেছে টুঙ্গিপাড়ার বাঘিয়ার পাড়ের হিজল গাছ আর হিজলতলা। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে ছোট একটি খাল। আর এই খালের পাশেই হিজলতলা। এখানের বাঁধানো ঘাটে বঙ্গবন্ধু গোসল করতেন, খালে সাঁতার কাটতেন, হিজলতলায় অবসর সময় কাটাতেন তিনি। বিভিন্ন কাজের জন্য এখান থেকেই বঙ্গবন্ধু নৌকায় করে বের হতেন। হিজল গাছটি আজও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির সাক্ষী হয়ে আছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে তার বাড়ির পাশের খালের পাড় ও হিজল গাছের চারপাশ বাঁধাই করা হয়েছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিজল তলাসহ খালটি দেখতে আসেন নানা বয়সের দর্শনার্থীরা। তারা এখানে এসে অনুভব করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা।
দর্শনার্থীরা জানান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, কিন্তু টুঙ্গিপাড়ায় তার অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাই এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, ছেলেবেলার খেলার মাঠ, তার প্রিয় বালিশা আমগাছ, হিজলতলাসহ বিভিন্ন স্মৃতি ঘুরে ঘুরে দেখেন তারা।
টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা শেখ লুৎফর রহমান (৭০) জানান, বঙ্গবন্ধু বাড়িতে আসলে এই হিজলতলায় বসে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন। এখানে এই খালের পানিতে গোসল করতেন। তার নানা স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই হিজল গাছের সঙ্গে।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে হিজলতলাসহ বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন যেখানে যেখানে পড়েছে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’