X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৯, ১১:৫১আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩৯

পিবিআই ইউপি চেয়ারম্যানসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়া শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদিবাসী ছেলেকে বিয়ে করায় সালিস ডেকে মারধর করায় নার্গিস আক্তার নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় নার্গিসের মা নাহার বেগম আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও তার সহযোগী মিজানুর রহমানকে আসামি করে রবিবার (১৮ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। শুনানির পর জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক এবিএম মাহমুদুল হক বিষয়টি তদন্ত করে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে,নার্গিসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের আদিবাসী যুবক অজিত পাহানের। পরে অজিত এফিডেভিট করে মুসলমান হয়ে ইসলামী বিধান মতে ২৯ জুলাই নার্গিসকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানির হওয়ার পর মোহাম্মদাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ১ আগস্ট সালিস ডাকেন। সালিসে আদিবাসী ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে নার্গিসকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী মিজানুর রহমান। এতে নার্গিসের ডান হাত ভেঙে যায়। পরে তাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে এ কাজের জন্য নানা ধরনের অপমানজনক কথা বলা হয়। পরের দিন সকালে পুরানাপৈল তাজপুর এলাকায় রেললাইনের ওপর থেকে নার্গিসের মরদেহ উদ্ধার করে সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা পুলিশ।

নাহার বেগম বলেন, ‘সালিসের সময় আমাদের ডাকা হয়নি। চেয়ারম্যান যদি সঠিক বিচার করতো তাহলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতো না। সালিসে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মারা হয়েছে। তাকে নানাভাবে গালমন্দ করা হয়েছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আমার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কথা কেউ শোনে না। আমি বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতে মামলা করেছি।’

অজিত পাহান বলেন, ‘আমি আদিবাসী বলে সমাজ আমাদের এ বিয়ে মেনে নেয়নি। চেয়ারম্যান মেম্বার বসে সালিসের দিন ডিভোর্সের কাগজ আমার হাতে দেয়।’ 

চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,  ‘দুই ধর্মের বিয়েতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। কোনও মারধর করা হয়নি। যা কিছু হয়েছে আপষের মাধ্যমে হয়েছে।’

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আদালতের আদেশ বগুড়া অফিসে এখনও আসেনি। আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

 

 

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে বক্তারাবাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
তীব্র গরমে পানি চাইতে চাইতেই ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু
তীব্র গরমে পানি চাইতে চাইতেই ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা