X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাবার সঙ্গে এফিডেভিট করে সম্পর্ক ছিন্ন করলো মেয়ে

নওগাঁ প্রতিনিধি
২০ আগস্ট ২০১৯, ১৮:২২আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৯, ২০:১২

নওগাঁ নওগাঁ জজ কোর্টে এফিডেভিট করে বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন রজনী আক্তার (২১) নামে এক কলেজছাত্রী। টাকার লোভে জোর করে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে বাধ্য করা, বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া, শারীরিক নির্যাতন করা ইত্যাদি অভিযোগ এনেছেন তিনি বাবার বিরুদ্ধে। গত ১৮ আগস্ট নওগাঁ জজ কোর্টের আইনজীবী হারুন অর রশীদ এবং নোটারি পাবলিক মো. সোলাইমান আলী চৌধুরী স্বাক্ষরিত ৩শ’ টাকার দলিলে এফিডেভিটের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।

রজনী বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতনী মাতোপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও জুলেখা বানুর মেয়ে।

এফিডেভিট সূত্রে জানা যায়, রজনী আক্তারের মা জুলেখা বানু ২০০৭ সালে মারা যান। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মা মারা যাওয়ার পর ছোট বোন জান্নাতুন চাচার কাছে প্রতিপালিত হচ্ছে। তার ছোট ভাই বিজয় মুরগির ফিডের একটি দোকানে কাজ করে। তাদের বাবা আবার বিয়ে করেছেন।

রজনী বলেন, ‘আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বাবা লেখাপড়ার খরচ বন্ধ করে দেন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পড়াশোনা করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করি। টিউশনি করেই নিজের খরচ চালাই। সেই সঙ্গে বাবাকে সহযোগিতা করি। কিন্তু বাবার টাকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবাসী একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাপ দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমার ওপর চলতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর আমার বাবা টাকার বিনিময়ে সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের সৈকত আলী (৫৫) নামে এক প্রবাসীর সঙ্গে একটি ঘরে জোরপূর্বক দুই দিন আবদ্ধ করে রাখেন আমাকে। সৈকত আগে একাধিক বিয়ে করেছেন এবং তার সন্তানও রয়েছে। এরপর ২৭ অক্টোবর ওই দুই দফায় ৭০ হাজার টাকা নিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে বাবা জামাইয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা নিতে থাকে। এ নিয়ে সৈকত আমাকে গালিগালাজ ও মারপিট করতো। এমনকি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও দিতে দেয়নি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে রজনীর বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মেয়েকে কোনও নির্যাতন করিনি। টাকা নিয়েও প্রবাসীর সঙ্গে বিয়েও দেওয়া হয়নি। মেয়ে নিজ থেকেই বিয়ে করেছে। চার মাস মেয়ের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। এখন যদি এফিডেভিট করে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে আর কী করার আছে!’

এ বিষয়ে রজনীর স্বামী সৈকত আলী বলেন, ‘তাদের বাড়িতে ঘটক পাঠিয়ে প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করেছি। বিয়েতে এক লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছিল। সে সময় নাক ও কানের সোনার গহনা দেওয়া হয়েছিল। আমি বিদেশ চলে যাওয়ার পর রজনী বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। দেশে এসেছি প্রায় এক মাস হলো। বর্তমানে স্ত্রীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।’

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!