সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে উদ্ধার বাঘটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসানের কাছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বন বিভাগের তদন্ত দল এলাকাটি ঘুরে দেখেছে। সেখানে বাঘটিকে হত্যা বা বিষটোপ দেওয়ার কোনও আলামত তারা পায়নি।
তদন্ত দলের প্রধান জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওই এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা আমরা ঘুরে দেখেছি। কোথাও বিষটোপ বা ফাঁদ দেখিনি। সেখানে বাঘ বা বন্যপ্রাণী ছাড়া কোনও পায়ের ছাপও লক্ষ করা যায়নি। উদ্ধার বাঘটির শরীরেও কোনও আঘাত বা ক্ষত ছিল না।’
বন বিভাগ জানায়, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য জন্য সুন্দরবন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরীক্ষাগারে বাঘটির বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে।
শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের ছাপড়াখালী এলাকা থেকে গত ২০ আগস্ট সাত ফুট সাত ইঞ্চি লম্বা ও সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার পূর্ণবয়স্ক বাঘটির মৃতদেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন বিভাগের টহল দলের সদস্যরা। বাঘটি ছাপড়াখালীর বন্দেআলী খাল থেকে প্রায় ৫০ ফুট ভেতরে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। ঘটনার পরদিন উদ্ধার বাঘটির মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে ময়নাতদন্ত করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জান্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ বলছে, সুন্দরবন এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঘের গড় আয়ু ১৪ থেকে ১৬ বছর। ২০১৫ সালের বাঘ শুমারিতে ১০৬টি বাঘ থাকার কথা জানা গিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১১৪টি হয়েছে।