চট্টগ্রামে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়ানো যুবদলের দুই পক্ষের একটি মহানগর যুবদল মোশারফ হোসেন দিপ্তির অনুসারী এবং অন্যটি স্থানীয় এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবদল নেতা শামসুল হকের অনুসারী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমাবেশে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এসময় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দিপ্তির অনুসারীদের সঙ্গে শামসুল হকের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে চেয়ার ছুড়ে মারে। পরে উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’
এদিকে, এ ঘটনার জন্য মোশারফ হোসেন দিপ্তি ও শামসুল হকের পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেন।
নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সমাবেশে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যুবদল নেতা নামদারী সন্ত্রাসী শামসুল হকের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগেও তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তারা যুবদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন যুবদল নেতা শামসুল হক। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পদপদবি নিয়ে সভাপতি-সেক্রেটারি বাসায় বসে থাকলে সমাবেশে আসা জুনিয়র নেতাকর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।’ পদপদবিতে থাকা যুবদল নেতাদের দলের কোনও প্রোগ্রামের দেখা যায় না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।