নিখোঁজের দু’দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার, আটক ১

নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের দুই দিন পর নদী থেকে মো. হোসেন মিয়া (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বড়কান্দা এলাকার কাকন নদী থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি।
হোসেন উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মো. আপন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় একই এলাকার মো. মোস্তফা মিয়া নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। পলাতক রয়েছে আটক মোস্তফার ছেলে মো. ইসলাম।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিনুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয় হোসেন। রাতেই শিশুটির মা-বাবা তার খোঁজ করতে সন্দেহভাজন মোস্তফার বাড়িতে গেলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা রাযপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সোমবার স্থানীয়রা কাকন নদীতে শিশুর লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করলে পরিবারের লোকজন হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কয়েক দিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোসেনের বাবা দিনমজুর আপনের সঙ্গে একই এলাকার মোস্তফার ছেলে ইসলামের ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে বাড়ির পাশে খেলতে থাকা অবস্থায় হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসলাম।
পলাতক ইসলাম ও তার বাবা মোস্তফার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক শিশুকে বাড়ি ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সাত বছর আগে নিজ ভাগ্নেকে হত্যার অভিযোগে কারাবাসের পর দুই বছর আগে জামিনে ছাড়া পান মোস্তফা।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ইসলাম শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। নিহত শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পলাতক ইসলামের বাবা মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে।