X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনা প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১৯আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৪১

আফসানা মিমি খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আফসানা মিমিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর এই রায় দেওয়া হলো। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাস্তহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের, ৫৭৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও ৯ নম্বর রোডের ৫২০ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি

খালাস পেয়েছেন- বাস্তুহারা কলোনির ১০ নম্বর রোডের ৫৫৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), ৪ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৪), ১১ নম্বর রোডের বাসিন্দা মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও ৭ নম্বর রোডের ৩৪২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের ৪৯৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের শিশু কন্যা আফসানা মিমি ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে শিশুর বাবা রাতেই খালিশপুর থানায় এ ঘটনায় একটি জিডি করেন। পর দিন বিকাল ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস আফসানা মিমির লাশ বাস্তহারা দিঘিতে দেখতে পান এবং তার বাবাকে খবর দেন। এ ঘটনায় ইমাম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ইমাম হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যান্যরা তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্যক্ত করতো।

২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলী আদালতে ছয় জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।’

মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এ রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পারভেজ আলম খান আব্দুল লতিফ ও মনজুর আহমেদ।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
রামরুর কর্মশালায় বক্তারাঅভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা