দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে একশ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কিনছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টেন্ডার পাওয়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রথম ধাপে দুটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয় টিসিবির প্রধান কার্যালয়ে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করবে সংস্থাটি। টিসিবি’র পরিচালক যুগ্ম সচিব মইন উদ্দিন আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
শনিবার সকাল ১১টায় টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হিলি বন্দর পরিদর্শনে আসেন। দলটি দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান—সততা বাণিজ্যালয় ও মেসার্স খান ট্রেডার্সের আড়ত ঘুরে দেখেন। এই প্রতিষ্ঠান দুটির কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছে টিসিবি। এ সময় তারা পেঁয়াজের মান দেখেন এবং কীভাবে সরবরাহ করা যায় তা নিয়ে কথা বলেন। কথা বলেন বন্দরের অন্য আমদানিকারদের সঙ্গেও।
টিসিবি’র প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে ছিলেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান, টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় প্রধান সুজাউদ্দৌলা সরকার, হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন, আমদানিকারক বাবলুর রহমানসহ অনেকে।
টিসিবি’র পরিচালক যুগ্ম সচিব মইন উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে সরকারের নির্দেশনায় টিসিবির পক্ষ থেকে তুলনামূলক কম দমে অর্থাৎ ৪৫ টাকা কেজি দরে ঢাকার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে একইভাবে পেঁয়াজ বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছি। এ কারণে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর থেকে আমরা পেঁয়াজ কিনছি।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বাড়ায় তারা চাহিদা মতো পেঁয়াজ রফতানি করতে পারছে না। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এ অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির চেষ্টা করছে।
হারুন উর রশিদ আরও জানান, সম্প্রতি টিসিবি’র পক্ষ থেকে দেশের চারটি বন্দরে পেঁয়াজ ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে হিলি স্থলবন্দরের তিনজন আমদানিকারক অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে দুজন সর্বনিম্ন ৬২ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানান। এই দামে টিসিবি’র পক্ষ থেকে পেঁয়াজ সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়।