রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, রবিউল ইসলাম (২৯), সিরাজুল ইসলাম (২৫) ও উষা (২০)। রবিউলের নামে আরও সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগীরা হলেন আইবিএ’র শিক্ষার্থী নাঈম, শোভন ও তাদের দুই বান্ধবী।
এরআগে, রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে আইবিএ’র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব আল কুরাইশ (২০) বাদী হয়ে মতিহার থানায় রবি, শান্ত, সিরাজুল, উষা, শিপন, জনিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১১টার দিকে চার শিক্ষার্থী বিনোদপুর এলাকায় গিয়েছিলেন। তাদের দুই জনের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। এ সময় অভিযুক্তরা দুই ছাত্রীর উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে অভিযুক্তরা এবং ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলাট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি সিরাজুলসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন আইবিএর শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই স্থানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, মতিহার থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধান আসামিসহ তিন জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।