দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৮ টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কেজিতে যে পেঁয়াজ ৪৭-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল তা একলাফে ৭৫-৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্দর দিয়ে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ১৪টি ট্রাকে ২শ’ ৬৮মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে বিকালের দিকে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা আসে। এরপর ভারতের অভ্যন্তর থেকে দেশে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড় করানো থাকলেও পেঁয়াজের ট্রাকগুলো ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার খবরে কেজিতে ৪৭-৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম ৭৫-৮০ টাকা চান আমদানিকারকরা। এতে দুই ট্রাক পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও দাম বাড়ায় আর কোনও পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।
সূত্রের দাবি, আমদানিকারকরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস করে নিজস্ব গুদামে নিচ্ছেন। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা দাম বেশি হওয়ার কারণে পেঁয়াজ না কিনে ঘুরে যাচ্ছেন।
স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন ও কুমুদ এক্কা জানান, ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে আমদানিকারকরা ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের দাম চাইছেন। কিন্তু সেই দামে পেঁয়াজ কিনলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তারা পেঁয়াজ কেনার সাহস পাচ্ছেন না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আজ (রবিবার) বিকালে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন, ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও পেঁয়াজ রফতানি করবে না। তবে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের এলসি খোলা ছিল তার বিপরীতে তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে টেন্ডার করছেন এবং পণ্য আমদানিও করছেন। সেইসঙ্গে রবিবার দুপুর পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু এলসির বিপরীতে টেন্ডার করলেও রবিবার দুপুরের পর থেকে যেসব এলসি খোলা হয়েছে এর বিপরীতে নতুন করে কোনও টেন্ডার গ্রহণ করছেন না।