ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে পাঁচ জেলেকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মা-ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালানোর সময় তাদের এই সাজা দেওয়া হয়। অভিযানের সময় দুই হাজার মিটার জাল ও ১৫ কেজি ইলিশও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দিনগত রাতে মেঘনা নদীর ভোলার খাল এলাকায় নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এদের আটক করা হয়। বুধবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের প্রত্যেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. সিরাজ মাঝি, মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মো. দুলাল হাওলাদার, মো. হান্নান মোল্লা ও মো. আব্দুর রহিম। এদের প্রত্যেকের বাড়ি সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশের একটি টিম মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় মেঘনা নদীর ভোলার খাল এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা প্রায় দুই হাজার মিটার জাল ও ১৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পরে এদের প্রত্যেককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জব্দকৃত জাল মেঘনা নদীর তুলাতুলি এলাকায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদ্ধার করা মাছ বিভিন্ন এতিম খানা এবং গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়টা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এসময়ে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসময়ে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত, বহন ও বিনিময় করা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।