দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়েছেন সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান (৩৫)। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার ড্রয়ারে হিসাব ছাড়া আরও ২৫ হাজার ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, শহরের মালতিনগরে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে ১৬ অক্টোবর অস্থায়ী আনসার সদস্যদের মিটিং ছিল। মিটিংয়ে ১২ জন আনসার সদস্য উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান তাদের শোকজ করেন। চাকরি বাঁচাতে তারা আনিসুর রহমানের সঙ্গে দেখা করলে তিনি তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ১২ আনসার সদস্যদের অনুরোধে তিনি ২০ হাজার টাকায় বিনিময়ে তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে শাকিল আল মামুন নামে এক আনসার সদস্য এ ব্যাপারে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। দুদক কর্মকর্তারা তদন্ত করে এর সত্যতা পেলে ওই কর্মকর্তাকে ধরার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২ আনসার সদস্য রবিবার বিকালে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই দুদক কর্মকর্তারা ওঁৎ পেতে থাকেন। আনসার সদস্যরা আনিসুর রহমানকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সময় দুদক কর্মকর্তারা তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।
তিনি আরও জানান, ওই সময় আনিসুর রহমানের টেবিলের ড্রয়ারে আরও ২৫ হাজার ২৫০ টাকা পাওয়া যায়। তিনি ওই টাকা সম্পর্কে কোনও সদুত্তোর দিতে পারেননি। গ্রেফতারের পর তাকে দুদক কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হবে।