টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নওগাঁর বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিতে পানি জমে গেছে। ফলে শাকসবজি ও আমন ধানের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। চাষিরা অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শীতকালীন সবজির চারা রোপণ ও বীজ বপন শুরু করেছেন। এছাড়া, খরিপ-১ মৌসুমের শেষের দিকে শীতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এসব আগাম সবজি ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। জেলায় এবছর রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল, বক্তারপুর, পাহাড়পুর, বদলগাছী উপজেলার কোলা এলাকায় লাল শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, করলা, ঢেড়স, মূলাসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেতে পানি জমে গেছে। রোপা আমনের ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে।
বর্ষাইল ইউনিয়নের কৃষক শাহিন হোসেন বলেন, ‘গত দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে পানি আটকে গেছে। পানি বের হতে না পারলে সবজি সব নষ্ট হয়ে যাবে।’
বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এ বছর বেশি লাভের আশায় তিন বিঘা জমিতে শীতের আগাম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছি। কিন্তু গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে কপি খেতে পানি জমে গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হামিদুল ইসলাম বলেন,‘আগামী দুই-তিন দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত সবজি ও ধান খেতের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে নিচু এলাকার কিছু জমিতে সবজির খেতে পানি জমে গেছে। ঝড়ো হাওয়ায় কিছু কিছু মাঠে ধানের গাছ হেলে পড়েছে। নিচু জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ’