ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে খুলনায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরও আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি লোকজন। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বারবার মাইকিং করা হলেও শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউই আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে কেউ এগিয়ে গেলে তাকে পাল্টা শুনতে হচ্ছে ‘আপনি যাচ্ছেন না কেন?’।
কয়রা সদরের হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। এ অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হলে তারা উল্টো প্রশ্ন করছেন।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। মানুষকে এখনও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে ফোর্স করা হতে পারে।’
দাকোপের মোস্তফা খান বলেন, ‘মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্র যায়নি। তবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘মাইকিং চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মানুষ জন প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। প্রয়োজনে মানুষকে ফোর্স করে কেন্দ্রে নেওয়া হবে।’
খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন-
মহাবিপদ সংকেতের পরও একটি পতাকা, আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি লোকজন
‘বুলবুলের’ কারণে রাসমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা
ধেয়ে আসছে ‘বুলবুল’, বন্দরে চার নম্বর সংকেত
জাহাজ বন্ধ, সেন্টমার্টিনে আটকা দেড় হাজার পর্যটক