কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে চারজনের ও মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৩ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দুটি ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল মধ্যপাড়া গ্রামের মোস্তফা প্রামাণিকের ছেলে লখাই প্রামাণিক ওরফে আজাদ, চৌড়হাস ফুলতলা গ্রামের আসাদুলের ছেলে শামীম হোসেন, কাথুলিয়া গ্রামের আনোয়ার বিশ্বাসের ছেলে চন্নু বিশ্বাস ও শফি মণ্ডলের ছেলে নজরুল। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লাহরী ও নাজিম নামে দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বাপ্পী মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৫ সালের ২৮ মে বটতৈল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন আসামিরা। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজে সদর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবনসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ায় আক্কাছ আলী (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আক্কাছ আলী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা আলীর ছেলে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, ‘২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর সদর উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে র্যাব ১৮৭ বোতল ফেনসিডিলসহ আক্কাছকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় র্যাব-১২ সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আক্কাছকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছেন।