এবার চতুর্থ বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন সাভারের আশুলিয়ার ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ রোমান ভূইয়া। এই তরুণ করদাতা মায়ের দেওয়া মাত্র তিন লাখ টাকা নিয়ে ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। দিন- রাত পরিশ্রম করে ব্যবসায় সফল তানভীর আহমেদ শ্রেষ্ঠ করদাতা হওয়ায় গর্ববোধ করেন।
রোমান ভূইয়া আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকার ছফিল উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে।
এই ব্যবসায়ী জানান, পড়ালেখা শেষ করে মায়ের দেওয়া তিন লাখ টাকা দিয়ে ২০০৭ সালে বাংলা লিংক টেলিকম কোম্পানির এক্সক্লুসিভ আউটলেট দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিদিন নিজেই সেবা দিতেন গ্রাহকদের। দিন- রাত পরিশ্রম করেন। এভাবে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে ব্যবসা। মোবাইল নেটওয়ার্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। ছেলের কঠোর পরিশ্রম আর সফলতা দেখে এক বছর পর বাবা-মা তাকে আরও ১০ লাখ টাকা দেন। এই টাকা দিয়ে ২০০৮ সালে জামগড়া এলাকায় গ্রামীণফোনের আরও একটি নতুন আউটলেট চালু করেন রোমান ভূইয়া। প্রথম বছরেই গ্রামীণফানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেবা প্রদানকারী আউটলেট হয়ে ওঠে তার প্রতিষ্ঠান। এরপর ঢাকা অঞ্চলের গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পেয়ে যাওয়ায় তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রোমান ভূইয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমার ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচশরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বন্ধন ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স (গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউটর), প্রভাত হাউজিং লিমিটেড, গৌরি ডিস্ট্রিবিউশন করপোরেশন ( বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর), নায়ফা ট্রেড বিডি, শার্প স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক এবং নান ব্রিকস।’
ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা বলেন, ‘আমার পথ চলাটা সহজ ছিল না। তবে প্রতিবন্ধকতা এলেও হাল ছাড়িনি। প্রথমদিকে বেতনভুক্ত কর্মী ছাড়াই ব্যবসা সামাল দিয়েছি। সকাল ৮ থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেছি। এরই সুফল হিসেবে ২০১৬ সালে প্রথম সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা পাই। এরপর ২০১৭, ২০১৮ সালেও সেরা করদাতা নির্বাচিত হই। আমি মনে করি, কখনও সম্পদ গোপন করে রাষ্ট্রের সঙ্গে বেঈমানি করা উচিত নয়।’