পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন। তাদের আকস্মিক ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। জানা গেছে, নার্স কর্তৃক এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ধর্মঘটের সমর্থনে ইনটার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের সামনে এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
হাসপাতালের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– ইনটার্ন চিকিৎসকদের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গাজীসহ অন্য নেতারা। এ সময় তারা বলেন, ‘গত সোমবার রাতে হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে এক নার্সের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন সকালে ডা. আরিফ নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করেন নার্সরা। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করে পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট করতে আমরা বাধ্য হয়েছি।’ বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
অন্যদিকে, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের নেত্রী মাহমুদা আখতার জানান, সোমবার রাতে তাদের এক সহকর্মী ইনজেকশন রোগীর শরীরে পুশ করার সময় ইনজেকশনের ডিস্ট্রিল ওয়াটার একজন ইনটার্ন চিকিৎসকের শরীরে সামান্য পরিমাণ পড়ে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে নার্সরা মঙ্গলবার সকালে পরিচালকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।
ইনটার্ন চিকিৎসকরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনের নামে হাসপাতালে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’ তবে ইনটার্ন চিকিৎসকরা কোনও আলটিমেটাম ছাড়া কেনো ধর্মঘট করছে সে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।